দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটিং কোচ শেন ওয়াটসন পডকাস্ট দ্য গ্রেড ক্রিকেটার-এ কথা বলতে গিয়ে স্বীকার করে নিয়েছেন যে,ৎচিন্নাস্বামীতে তাঁর দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে যে দিন খেলেছিল, সেই দিন আগুন জ্বলছিল বিরাট কোহলির ভিতরে। তবে নিশ্চিত নন তিনি যে, কোহলির সাথে দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেট ডিরেক্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কোনরকম উত্তেজনা ছিল কিনা।
যখন ওয়াটসনের থেকে জানতে যাওয়া হয়েছিল যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট এবং সৌরভের সম্পর্ক নিয়ে আগুন জ্বলছে। এবং সৌরভ-বিরাট ম্যাচের পর হ্যান্ডশেকও করেননি। এড়িয়ে চলেছে একে অপরকে। আসল বিষয়টি কী? তখন হেসে ফেলেন শেন ওয়াটসন এবং বললেন, ‘বোধহয় গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি নিশ্চিত নই। এই ব্যাপারে আমি খুব বেশি জড়িয়ে যেতে চাই না।’
যে কারণে জন্যই হোক না কেন, সেই ম্যাচে কোহলি মারাত্মক তেতে ছিলেন, ওয়াটসন সেটা মেনে নিয়েছেন। তার মত অনুযায়ী, নিঃসন্দেহে এটা বিরোধী দলের পক্ষে খুবই চাপের বিষয়। ওয়াটসন বললেন, ‘বিরাট এর মধ্যে ওই ম্যাচে একটা আলাদা আগুন ছিল, সেটা নিশ্চিত। বিপক্ষে একজন সদস্য হিসাবে আমি বলতে পারি, একেবারেই সেটা কাম্য নয়। যখন বিরাট আগ্রাসী হয়ে থাকে, তখন সব থেকে ভালো ছন্দে ওকে পাওয়া যায়। তবে কী হয়েছে সৌরভের সাথে সেটা নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারব না।’ সেই ম্যাচে কোহলি ৩৪ বলে ৫০ রান করেছিলেন। এবং ২৩ রানে তার দল জিতে গিয়েছিল।
নতুন কিছু নয় কোহলি ও সৌরভের মধ্যকার দ্বন্দ্ব। বিরাট কুড়ি বিশের ফরম্যাটের ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দেন ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর। সৌরভ দাবি করেছিলেন, বিরাটকে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে তিনি বারণ করেছিলেন। কোহলি পুরোপুরিভাবে সৌরভের দাবি অস্বীকার করেন। দুজনের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব-চরমে ওঠে। অবশ্য তার আগে ওডিআই ফরম্যাটে নেতৃত্ব থেকে কোহলিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিসিসিআইকে ট্যাগ করে বিরাট টেস্ট ফরম্যাটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। সেই পোস্টে তিনি সৌরভের নামও উচ্চারণ করেননি।
এরপর সৌরভ আর কোহলির ঝামেলা আবারও আরসিবি-দিল্লি ম্যাচের সময়ে নতুন করে প্রকাশ্যে চলে আসে। সেই দিনের ম্যাচ চলাকালীন বিরাট ফিল্ডিং করছিলেন দিল্লির ডাগ আউটের কাছে। দিল্লির আমন খান সেই ম্যাচে ভালো ব্যাটিং করছিলেন। আমন আউট হয়ে যাওয়ার পর বিরাট কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন ডাগআউটে বসে থাকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রিকি পন্টিংদের দিকে। বিরাটে নিশানায় যে দিল্লি ক্যাপিটালসের ‘ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ই ছিলেন তাতে কোনো রকম সন্দেহ নেই। বিরাটের রক্ত চক্ষুর দিকে সৌরভ হাঁ করে চেয়েছিলেন।
বিরাট শুরুটা করেছিলেন এবার সৌরভও পালটা দেন। দুই পক্ষ ম্যাচের পর হাত মেলানিন। বিরাট কোহলি ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হতেই রিকি পন্টিংয়ের দিকে বিরাট ঘুরে গিয়েছিলেন। সুযোগ বুঝে সৌরভও বিরাটকে এড়িয়ে যান। এখানে শেষ নয়। বিতর্কের পর তারা ইনস্টাগ্রাম থেকে একে অপরকে আনফলো করে দেন।
