Shakib Al Hasan: সম্প্রতি বাংলাদেশ অগ্নিক্ষেত্র হয়ে ওঠে ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে। ছাত্রদের দাবি পূরণে ব্যার্থ হওয়ায় ভেঙে পড়ে হাসিনা সরকার। আর এরপর থেকেই কালো দিন নেমে আসে হাসিনা সরকারের পৃষ্টপোষকদের উপর কালোদিন। সাকিব ও ব্যতিক্রম নন। একসময় দেশের তারকা ক্রিকেটার, বড় বড় ম্যাচের একমাত্র ভরসার জায়গা সাকিব আল হাসান এখন দেশের মানুষদের চক্ষুশূল। ভেবেছিলেন ক্রিকেট কে আঁকড়ে ধরেই আবার দেশের মানুষের মনে জায়গা নেবেন। কিন্তু তা আর হলোনা। চাপের মুখে অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন সাকিব।
জানা যাচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে চলা চলতি টেস্ট সিরিজের ম্যাচেই সাকিবকে (Shakib Al Hasan) কানপুরে খেলতে দেখা যাবে শেষ বারের মতো। নতুন শুরুর যে স্বপ্ন সাকিব দেখেছিলেন তা তাঁর থেকে অনেক দূরে চলে এসেছেন তিনি। তাই অবসরের সিদ্ধান্ত। শুক্রবার দ্বিতীয় টেস্টে সামনাসামনি হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশ। কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের স্বপ্নের টেস্ট জয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের শিখা আরেকটু বেশি প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ২৮০ রানে হারে বাংলাদেশ।
ওই ম্যাচে কোনো গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনি সাকিব। দ্বিতীয় টেস্টের আগে নিজেই জানিয়েছেন তিনি আর T20 ক্রিকেট খেলবেন না। ফলে ভারতের বিরুদ্ধে পর পর তিনটি t20 তে দেখা পাওয়া যাবেনা সাকিবের।এই ৩৭ বছরীয় ক্রিকেটার ২০০৭ থেকেই t20 ওয়ার্ল্ড কাপ খেলে আসছে। এবার এই কিংবদনতির অবসর মানে একটা গোটা যুগের শেষ হয়ে আসা। গত দুই দশকে বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলায় যতটুকু করেছে তার পুরো কৃতিত্ব এই সাকিবেরই অথচ মানুষ তার কথা ভুলে গেলো।
একটি প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সাকিব। তিনি দাবি রেখেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য যে তিনি ভারতের বিপক্ষে তিনটি টেস্ট ম্যাচই খেলতে চান। তবে সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট পাশ হয়েছে। ঢাকা বিমান বন্দরে পা দেওয়া মাত্রই তাকে গ্রেফতারের পরোয়ানা জারি রয়েছে।
সাকিব ইতিমধ্যেই টেস্ট এবং T20 তে অবসরের সময় জানালেও ওয়ান ডে ম্যাচেও কি তবে অবসর নেবেন? এই বিষয়ে সাকিব জানিয়েছেন ২০২৫ এর ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানে যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটা খেলা হবে ঐটা খেলেই তিনি তাঁর ক্রিকেট জীবনের ইতি টানবেন।
আরও পড়ুন: IPL ২০২৫’এর আগে বড় ধাক্কা পেলেন ভক্তরা !! দিল্লিতে যোগ দিয়েছেন বিরাট কোহলি