আইপিএল ২০২৪ক্রিকেট নিউজফুটবলক্রিকেট গসিপঅন্যান্য খেলাধুলা

“তিনি যদি আমাকে সমর্থন না করতেন তাহলে আমি প্রত্যাবর্তন করতে পারতাম না” – মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রশংসা করলেন যুবরাজ সিং

Published on:

WhatsApp Group Join Now

বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ও ২০১১ বিশ্বকাপ জেতার পিছনের কান্ডারি যুবরাজ সিংয়ের (Yuvraj Singh) ২০০০ সালে তার উত্থান হয়েছিল যখন সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly) ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের অধিনায়ক। একটা সময় যুবরাজ সিং ভারতের সাদা বলের ক্রিকেটের সব থেকে বড় অলরাউন্ডার ছিলেন তাতে কোনরকম সন্দেহ নেই। এমনকি, ২০১১ বিশ্বকাপ ক্যান্সার নিয়েও যুবরাজ ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। তিনি টুর্ণামেন্টের সেরা প্লেয়ার হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন।

WhatsApp Group Join Now

২০১১ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া ওডিআই বিশ্বকাপটিতে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন যুবরাজ। এই বিশ্বকাপটিতে তিনি ব্যাট হাতে ৩৬২ রান করেছিলেন এবং বল হাতে ১৫টি উইকেট নিয়েছিলেন। ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্টুয়ার্ট ব্রডের একটি ওভারে তিনি ৬ বলে ৬টি ছয় মেরেছিলেন। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে তিনি ৩০ বলে ৭০ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন।

তারপর অবশ্য ২০১৩ সালে তিনি বাদ পড়ে যান একদিনের দল থেকে। কাম ব্যাক হয় ২০১৭ সালে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে যুবরাজ জানিয়েছেন বিরাট কোহলি না থাকলে চার বছর পর তিনি ভারতের জার্সিতে ফিরতে পারতেন না। তার সবচেয়ে বড় কারণ নাম না করলেও বোধ হয় মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু বিরাট সব সময় যুবরাজের প্রতি বিশ্বাস রাখতেন এবং বড় দাদার মতো দেখতেন।

যুবরাজকে তিনি কথা দেন ফিটনেস টেস্টে পাশ করতে পারলে তার জাতীয় দলে ফেরা কেউ আটকাতে পারবে না। তাই তিন মাস প্রচুর পরিশ্রম করেন যুবরাজ। এবং ফিটনেস টেস্ট উত্তীর্ণ হন। যুবরাজ জানিয়েছেন বিরাটের বিশ্বাস এবং ভালোবাসা তিনি ভুলতে পারবেন না। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কৃতজ্ঞ থাকবেন। কিন্তু পাশাপাশি ভারতীয় বোর্ডের ওপর রাগ আছে যুবরাজের। তিনি কোহলিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমি যখন ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করি, বিরাট কোহলি তার অধিনায়কত্বের সময় আমাকে অনেক সমর্থন করেছিলেন। বিরাট যদি আমাকে সমর্থন না করত, আমার কামব্যাক কখনও সম্ভব হতো না।”

একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে যুবরাজ সিং বলেন, “যখন আমি আমার প্রত্যাবর্তন করি, বিরাট কোহলি আমাকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি আমাকে সমর্থন না করলে আমি প্রত্যাবর্তন করতে পারতাম না। কিন্তু তারপরে ধোনিই আমাকে ২০১৯ বিশ্বকাপের স্পষ্ট দিকটি দেখিয়েছিলেন যে নির্বাচকরা আপনাকে নিয়ে ভাবছেন না।” তিনি আরও বলেন, “তিনি আমাকে আসল ছবি দেখিয়েছিলেন। তিনি আমার কাছে সবকিছু স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি আমার জন্য যতটা সম্ভব ততটা করেছিলেন।”

যুবরাজ সিং বলেন, “২০১১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত, এমএস আমার উপর অনেক আস্থা রেখেছিল,কিন্তু অসুস্থতা থেকে ফিরে আসার পর খেলার পরিবর্তন হয়েছিল এবং দলেও অনেক পরিবর্তন হয়েছিল। তাই ২০১৫ বিশ্বকাপের ব্যাপারে আপনি আসলে কিছু বলতেই পারবেন না। তাই এটা খুবই ব্যক্তিগত একটি সিদ্ধান্ত। তিনি আরও বলেন, সুতরাং আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে একজন অধিনায়ক হিসাবে আপনি কখনও কখনও সবকিছুকে ন্যায়সঙ্গত করতে পারেন না কারণ দিনের শেষে আপনাকে দেখতে হবে যে দেশ কীভাবে পারফর্ম করছে।”

About Author
2.