রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) পর ভারতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গৌতম গম্ভীরকে (Gautam Gambhir)। চলতি মাসের শেষের দিকে তিনি শ্রীলঙ্কা সফরে ভারতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন এবং প্রধান কোচের দায়িত্ব নেবেন। কিন্তু, কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি কোচের ভূমিকায় এসে গম্ভীর সাফল্য পাবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছে। বিস্তারিত জেনে নিন Kheladhular Jogot-এর এই প্রতিবেদনে।
একজন খেলোয়াড় বা অধিনায়ক হিসাবে, একজনের আক্রমণাত্মক প্রকৃতি তাঁকে সফল করতে পারে, কিন্তু যখন ভূমিকাটি একজন কোচের হয়, তখন তাঁকে আক্রমণাত্মক প্রকৃতির পরিবর্তে শান্ত এবং সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখন আশঙ্কা হচ্ছে গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) সবচেয়ে বড় শক্তিই হয়ে উঠতে পারে দলের দুর্বলতা।
গম্ভীর (Gautam Gambhir) তার ব্যাটিংয়ের জোরে ভারতকে অনেকবার জয় এনে দিয়েছেন। তিনি একজন সফল ক্রিকেট খেলোয়াড়। খেলা সম্পর্কে তার অনেক ধারণা রয়েছে। গম্ভীর জানেন কিভাবে যে কোন টুর্নামেন্ট জিততে হয়, গম্ভীর কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেকবার সফল হয়েছেন।
নকআউট ম্যাচের চাপ কীভাবে সামলাতে হয় তাও তিনি ভালোভাবে জানেন। একজন খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ী গম্ভীর, IPL-এ মোট ৩টি ট্রফি জিতেছেন, যার মধ্যে তিনি দুবার অধিনায়ক ছিলেন এবং একবার পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করেছিলেন। এসব দেখে তাকে প্রধান কোচ হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় BCCI।
তবে, গৌতম গম্ভীর, তার শক্তিশালী নেতৃত্বের ক্ষমতার জন্য বিখ্যাত হলেও তার আক্রমণাত্মক প্রকৃতির জন্যও কিছুটা কুখ্যাত।আমরা তাকে খেলার মাঠে অনেকবার অন্য খেলোয়াড়দের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দেখেছি। তবে এতে দোষের কিছু নেই, যখন একজন খেলোয়াড় মাঠে তার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে, মাঝে মাঝে তার আক্রমণাত্মক স্বভাবটা একটু বেশিই দেখা যায়।
কিন্তু, এই ভূমিকা যখন দলের সাপোর্ট স্টাফের হয়ে যায়, তখন শান্ত মনোভাব অবলম্বন করতে হয়। ২০২৪ সালের IPL দল লখনউ বা কলকাতা হোক, গম্ভীরকেও তার পুরোনো স্টাইলে একজন পরামর্শদাতা হিসাবে দেখা গিয়েছিল।IPL নিলামে একেবারে শান্ত দেখায় গম্ভীরকে, এছাড়া ডাগআউটেও খুব আক্রমণাত্মক দেখায় তাঁকে।
তিনি প্রতিটি বল এবং প্রতিটি শটে নিজের প্রতিক্রিয়া দেখান। ২০২৩ সালের IPL-এ RCB এবং LSG-র ম্যাচে, যখন গম্ভীর মাঠের মাঝখানে বিরাট কোহলি এবং নবীন উল হকের ইস্যু তুলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু একজন মেন্টর হিসেবে খেলোয়াড়দের মধ্যে থাকাটা তার জন্য ঠিক ছিল না বলে মনে করেন অনেক ক্রিকেটপ্রেমী মানুষেরা।
বর্তমান দলে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় আছে যাদের খেলায় প্রায় সিরিয়াস খেলোয়াড়দের মতো অভিজ্ঞতা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাই হবে গম্ভীরের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে তরুণদের সঙ্গে তাদের বন্ধনও গড়ে তুলতে হবে।
তাই এখন, জাতীয় দলের কোচ হওয়ার পর গম্ভীর তার স্বভাব বদলাচ্ছেন, নাকি এ বার আক্রমণাত্মক অধিনায়কের বদলে আক্রমণাত্মক কোচের নেতৃত্বে নতুন স্টাইলে দেখা যাবে ভারতকে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
আমরা সবসময় গৌতম গম্ভীরের মধ্যে আগুন এবং আগ্রাসন দেখেছি, কিন্তু এখন প্রশ্ন হল তার সবচেয়ে বড় শক্তি তার দুর্বলতা হয়ে উঠবে নাকি আমরা কোচ হিসেবে গম্ভীরের ভিন্ন অবতার দেখতে পাব। তবে ২০২৪ সাল থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত অনেক গুলো ICC টুর্নামেন্টে গম্ভীরকে ভারতীয় দলের (Team India) কোচিং করতে দেখা যাবে।
আরও পড়ুন। Gautam Gambhir: রোহিত-বিরাট যুগের অবসানের সময় আসন্ন, গম্ভীর প্রধান কোচ হওয়ার পর দল থেকে ছিটকে গিয়েছে এই তারকা জুটি !!