আইপিএল ২০২৪ক্রিকেট নিউজফুটবলক্রিকেট গসিপঅন্যান্য খেলাধুলা

বোর্ডে দাদাগিরি খতম! সুযোগ বুঝে দ্রাবিড়ের কোচিং-জ্ঞান নিয়ে ঝাঁঝালো আক্রমণ শাস্ত্রীর

Published on:

WhatsApp Group Join Now

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে সভাপতি থাকাকালীন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় রাহুল দ্রাবিড়কে ভারতীয় দলের হেড কোচ করে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ভারতের জাতীয় দলের কোচ হওয়ার ক্ষেত্রে একসময় নারাজ ছিলেন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান। এনসিএ প্রধান হিসাবেই থেকেতে চেয়েছিলেন। তবে সৌরভ গাঙ্গুলী নিজের টিম পাটনার কে বুঝিয়ে সুঝিয়ে জাতীয় দলের হেড কোচ করেন।

WhatsApp Group Join Now

চলতি বছরে ১৮ই অক্টোবরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদাগিরি শেষ হয়ে যাচ্ছে। আগামী কিছু ঘন্টার মধ্যেই সৌরভকে সরিয়ে বোর্ড প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসছেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী প্লেয়ার রজার বিনি। বোর্ডের প্রশাসনিক প্যানেলের পুরো রদবদল ঘটছে। জয় শাহ নিজের সচিব পদ ধরে রাখতে চলেছেন এবং বাকি সমস্ত পদেই অদলবদল ঘটছে।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রশাসনের রদবদলের পরে হালকা হলেও কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের ক্রিকেটীয় ভবিষ্যৎ নিয়েও প্ৰশ্ন উঠেছে। কারণ রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতীয় দল প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে অক্ষম হচ্ছে । দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে টেস্ট সিরিজে হার। এশিয়া কাপের মঞ্চেও বিধ্বস্ত হতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। পাকিস্তানের কাছে হার হজম করতে হয়েছে দুইবার।

রবি শাস্ত্রী-বিরাট কোহলির আমলে ভারতীয় দল যে পেস ব্রিগেডের ওপর ভরসা করে একের পর এক সিরিজ জিতেছিল, সেই পেস বিভাগই এখন ভারতীয় দলের অন্যতম দুর্বল একটি জায়গা। টি টোয়েন্টি ডেথ ওভারে বোলাররা নিয়মিত বেশি রান দিচ্ছেন।

ভারতীয় দলের এই বোলিং বিষয়ের উপর এবার মুখ খুললেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ স্বয়ং রবি শাস্ত্রী। মুম্বইয়ের প্রেস ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে শাস্ত্রী পরোক্ষভাবে কিছু বলে দিলেন বর্তমান জাতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। রবি শাস্ত্রী সরাসরি তাঁর কোচিং দক্ষতার ইঙ্গিত করে বলে দিলেন, “ম্যান ম্যানেজমেন্ট হল আসল। ওঁরা স্কুলের বাচ্চা নয়। ওঁরা ক্রোড়পতি।

প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত রয়েছে। কীভাবে এই প্লেয়ারদের সঙ্গে কমিউনিকেট করা হবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ওঁদের নিয়ন্ত্রণ করার কোড জানতে হবে। কার সঙ্গে কখন কথা বলতে হবে, ব্যক্তিগত স্তরে নাকি ওয়ান টু ওয়ান সিচুয়েশনে- এই অভিজ্ঞতা বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। এই স্কিল কোচের থাকতে হবে। আমার এই দক্ষতা ছিল।”

এর পর দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে ভারতীয় দলের ফিল্ডিংয়ের মান ভয়াবহ স্তরে ক্ষতি হয়েছে , তা তিনি জানিয়ে দিলেন। “ফিটনেসে জোর দেওয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমার সময়ে ইয়ো ইয়ো টেস্টের ব্যবস্থা ছিল। অনেক ক্রিকেটারই এতে হাসাহাসি করত। এই ইয়ো ইয়ো টেস্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক না হলেও ক্রিকেটারদেয় মধ্যে ফিটনেসে সচেতনতা আনার কাজ করত।

এটা দলে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। ওঁরা স্রেফ কেমন খেলত সেটা নয়, এর সঙ্গেই কীভাবে মাঠে ফিল্ডিং করত, সেটাও দেখার মত ছিল। এখন চিন্তা করার মত বিষয় হল, গত কয়েকমাসে প্রতিপক্ষ বেশ কয়েকবার ২০০-র ওপর স্কোর করেছে। সমর্থকরা বোলারদের যথারীতি দোষ দেবেন। তবে এরজন্য ফিল্ডিংও অনেকটা দায়ী।”

About Author

Leave a Comment

2.