২০২৭ অব্দি ভারতে আসবে না পাকিস্তান, পিসিবির স্বর্তে রাজি BCCI !!

BCCI: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছিল। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের তিক্ততার প্রভাব পড়েছিল ক্রীড়াঙ্গনেও। ভারত তাদের জাতীয় নিরাপত্তার কথা…

BCCI: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছিল। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের তিক্ততার প্রভাব পড়েছিল ক্রীড়াঙ্গনেও। ভারত তাদের জাতীয় নিরাপত্তার কথা তুলে ধরে পাকিস্তানে খেলতে আপত্তি জানায়। বিপরীতে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) হুমকি দেয় যে, ভারত পাকিস্তানে না এলে তারাও ভারতে কোনো টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে না।

এই পরিস্থিতিতে আইসিসি কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোঁজে এবং একটি হাইব্রিড মডেলের মাধ্যমে এই সমস্যার নিষ্পত্তি করতে চায়। আইসিসি-র সাম্প্রতিক বৈঠকে নিশ্চিত করা হয়, ভারত তাদের সমস্ত ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও শারজায় খেলবে, আর বাকী ম্যাচগুলি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে। এই হাইব্রিড মডেলে প্রধানত তিনটি ধাপ নির্ধারিত হয়েছে:পাকিস্তান আয়োজন করবে টুর্নামেন্টের গ্রুপ স্টেজের কিছু ম্যাচ।ভারত তাদের ম্যাচগুলি খেলবে আরব আমিরাতের নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ আরব আমিরাতের দুবাইতে হবে, যেখানে নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে।

পিসিবি প্রথমে এই মডেল মানতে রাজি হয়নি। তাদের বক্তব্য ছিল, পাকিস্তান যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করে, তাহলে ভারতের ম্যাচ পাকিস্তানে হওয়া উচিত। তবে পরে তারা আইসিসি-র এই পরিকল্পনা মেনে নেয়। বিসিসিআই এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট। তাদের যুক্তি, এটি কেবল একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নয়, বরং খেলোয়াড় ও সমর্থকদের নিরাপত্তার বিষয়টি এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।এই সিদ্ধান্তের পরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মডেল কার্যকর হলে ভবিষ্যতের দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও এই ধরনের মডেল গ্রহণ করা হতে পারে।

সমর্থকরা হতাশ যে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সরাসরি পাকিস্তানে হবে না। তবে এশিয়া কাপে হাইব্রিড মডেলের ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে, যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও কার্যকর হতে পারে। ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ যে কোনও সময়ের সেরা আকর্ষণ। ২০১৭ সালে শেষবার এই দুই দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে পাকিস্তান ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়। তাই ২০২৫ সালের টুর্নামেন্টে এই দুই দলের ম্যাচ যে দর্শকদের মন কাড়বে, তা নিশ্চিত।

অন্য দেশের অংশগ্রহণকারী দলগুলো পাকিস্তান এবং আরব আমিরাত উভয় ভেন্যুতে খেলবে। আইসিসি বলেছে, সমস্ত দল ও স্টাফের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর ফলে ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ হবে এবং টুর্নামেন্টটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ আয়োজনে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক লাভ অনেক। টুর্নামেন্টের আয়োজন পাকিস্তানের ক্রিকেট অবকাঠামোকে উন্নত করতে সাহায্য করবে।

একইসঙ্গে, আরব আমিরাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একটি নির্ভরযোগ্য ভেন্যু হিসেবে নিজেদের আরও প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর হাইব্রিড মডেল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে। ক্রীড়াঙ্গনে উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও, এই উদ্যোগ রাজনৈতিক এবং ক্রীড়াজগতের সম্পর্ককে আরও স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।