Arjun Tendulkar: ৬,৬,৬,৬,৪,৪,৪… যখন অর্জুন টেন্ডুলকারের ব্যাট থেকে এই শটগুলো বের হচ্ছিল, তখন মনে হচ্ছিল যেন মাঠে তার বাবা শচীন টেন্ডুলকারের এক ঝলক দেখা যাচ্ছে। “স্বজনপ্রীতি” এবং “শুধুমাত্র নামের কারণে দলে স্থান” -এর মতো অভিযোগের মুখোমুখি হওয়া এই খেলোয়াড় ২০৭ বলের তার সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলে সমালোচকদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন। বিস্তারিত জেনে নিন Kheladhular Jogot-এর এই প্রতিবেদনে।
অর্জুন কেবল ব্যাট হাতেই নয়, বল হাতেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন এবং প্রমাণ করেছেন যে তিনি কেবল একটি নামই নয়, একটি শক্তিশালী খেলারও যোগ্য।
আমরা যে অর্জুন টেন্ডুলকারের (Arjun Tendulkar) ইনিংসের কথা বলছি, তিনি ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ সি ম্যাচে রাজস্থানের বিপক্ষে গোয়ার হয়ে খেলার সময় সাত নম্বরে ব্যাট করেছিলেন।
ম্যাচে অর্জুন টেন্ডুলকার (Arjun Tendulkar) ২০৭ বলে ১২০ রানের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি ইনিংস খেলেন। তার ইনিংস গোয়াকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যায় এবং দল ৯ উইকেটে ৫৪৭ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে।
অর্জুন টেন্ডুলকারের (Arjun Tendulkar) এই ইনিংসটি কেবল পরিসংখ্যানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এতে সংগ্রাম, ধৈর্য এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতারও প্রমাণ ছিল। সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তার প্রতিটি শট দর্শকদের শচীন টেন্ডুলকারের সোনালী দিনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল।
অর্জুন টেন্ডুলকারের কভার ড্রাইভ, স্ট্রেইট ব্যাট শট এবং আক্রমণাত্মক স্টাইল সকলকে বিশ্বাস করিয়েছিল যে অর্জুন কেবল একজন বোলার নন, বরং একজন কার্যকর অলরাউন্ডার হওয়ার পথে।
অর্জুন টেন্ডুলকার ব্যাট হাতে তার জাদু দেখিয়েছিলেন, তবে বল হাতেও তার পারফর্মেন্স ছিল দুর্দান্ত। রাজস্থানের প্রথম ইনিংসে, যখন ৪৫৬ রান করার পর দলটি শক্তিশালী দেখাচ্ছিল, তখন অর্জুন দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন এবং ৩ উইকেট নিয়েছিলেন।
অর্জুন টেন্ডুলকারের বোলিংয়ে নির্ভুল লাইন-লেংথ এবং তীক্ষ্ণতা দেখা গেছে, যা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তিনি কেবল একজন খণ্ডকালীন বোলার নন, বরং একজন ম্যাচজয়ী অলরাউন্ডার হওয়ার ক্ষমতাও তার রয়েছে।
অর্জুন টেন্ডুলকার যখন থেকে ক্রিকেটে পা রাখেন, তখন থেকেই তার প্রতিটি পারফর্মেন্স তার বাবার ক্যারিয়ারের সাথে যুক্ত ছিল। সমালোচকরা কখনও তাকে ‘স্বজনপ্রীতির ফসল’ বলে অভিহিত করতেন, আবার কখনও ‘শুধুমাত্র তার নামের কারণে দলে অন্তর্ভুক্ত একজন খেলোয়াড়’ বলে অভিহিত করতেন।
এখন এটা বললে ভুল হবে না যে অর্জুন টেন্ডুলকার তার বাবার ভাবমূর্তি থেকে বেরিয়ে এসে ক্রিকেট জগতে নিজের পরিচয় তৈরি করছেন। শচীন যেমন বছরের পর বছর ধরে পতাকা উড়িয়েছেন, তেমনি অর্জুনও ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে ওঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।