বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি সাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hassan) ক্যারিয়ার যেন শেষ পর্বে পা দিয়েছে। সম্প্রতি তাকে টেস্ট দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং বিপিএলেও (BPL) তার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দেশের মাটিতে সাকিবের এই অধ্যায় যেন অনেক ভক্তের জন্য এক নতুন বাস্তবতা তৈরি করেছে।
সাকিব আল হাসানের টেস্ট থেকে বাদ পড়ার বিষয়টি ক্রিকেটাঙ্গনে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে সাকিব টেস্ট ফরম্যাটে অনিয়মিত ছিলেন। তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও উল্লেখযোগ্য না থাকায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাকে দল থেকে বাদ দিয়েছে। কানপুর টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে না পারায়, এই সিদ্ধান্ত আরও দৃঢ় হয়েছে। তার শেষ টেস্ট ইনিংসগুলোতে রান ছিলো নগণ্য—প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯ রান, আর দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো রান ছাড়াই আউট হন। যদিও তিনি বল হাতে কিছুটা ভাল করলেও, ব্যাটিং পারফরম্যান্স আশানুরূপ হয়নি।
বাংলাদেশের টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পাশাপাশি, সাকিবের বিপিএল থেকেও অনুপস্থিতির গুঞ্জন উঠেছে। দেশের মাটিতে টেস্ট খেলার ইচ্ছা থাকলেও, নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণে তাকে মাঠে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা কম। যদিও তার ভক্তরা চেয়েছিল সাকিব দেশের মাটিতে বিদায়ী টেস্ট খেলুক, বিসিবির তরফ থেকে জানানো হয়, তার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তারা রাষ্ট্রের সহযোগিতা ছাড়া কিছু করতে পারবে না।
সাকিবের ক্যারিয়ারের এমন সমাপ্তি অনেকের কাছে হতাশার। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটে একের পর এক রেকর্ড এবং অর্জনের পথ তৈরি করেছেন। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়, এবং দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি হয়ে ওঠেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারদের একজন। তার ক্যারিয়ারে ৭২টি টেস্ট ম্যাচে অংশ নিয়ে সাকিব অগণিত অর্জন করেছেন, যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এই মুহূর্তে সাকিবের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে এটি পরিষ্কার যে, বাংলাদেশের মাটিতে তাকে আর টেস্ট ক্রিকেটে দেখা যাবে না বলেই মনে হচ্ছে।